ছাত্রলীগ নেতাদের মায়ের জন্য উপহার পাঠালেন মাশরাফী

নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মায়েদের সম্মানে শাড়ি উপহার পাঠিয়েছেন।

নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মীম ও সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুজ্জামান পলাশের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত প্রতিটি ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং নড়াইল সদর ও লোহাগড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মায়েদের জন্য এ উপহার দেয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মীম, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মুন্সী জোসেফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শোয়েব পারভেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমানের উপস্থিতিতে সাংসদ মাশরাফীর উপহার ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে তুলে দেয়া হয় তাদের মায়েদের জন্য।

উপহার পেয়ে মল্লিকপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি থান্দার মনিরুজ্জামান জানান, ‘আমরা আজ অনেক খুশি। আমি তো রোজগার করি না, তবুও এই শাড়ি নিয়ে যখন মাকে বলবো, মাশরাফী ভাই পাঠিয়েছেন, তখন শুধু আমার মা নয়, ওনার নাম শুনলে সব মা’ই খুশি হবেন। ওনার মতো বিশ্বখ্যাত মানুষের উপহার আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সারাজীবন।’

এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান জানালেন, ‘মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে, আদর্শিক কর্মীর চাহিদা ঠিকই উপলব্ধি করেছেন। মায়েদের জন্য উপহার পেয়ে ছাত্রলীগের ছেলেদের মনটা আজ ভরে গেছে, এই ঈদে তাদের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।’

এমন ঘটনা সারাদেশের সকল নেতাদের জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হোক। এর মাধ্যমে সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তার কর্মীর আবেগকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে শিখবেন বলে মনে করেন আরিফ।

লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান জানান, ‘আমাদের মায়েদের মুখের হাসি মানে আমাদের হাসি। আমাদের মায়েদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমরা মাননীয় সংসদ সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মুন্সী জোসেফ হোসেন, লোহাগড়া উপজেলা, পৌর-কলেজ ইউনিটসহ সমগ্র লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেই মাশরাফীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথ বিবৃতিতে জানান, ‘নড়াইল জেলা ছাত্রলীগ পরিবার গর্বিত। আমাদের মানবিক সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা শুধু আমাদের মায়েদের সম্মানিত করেননি, গোটা ছাত্রলীগ পরিবারকে সম্মানিত করেছেন।’

নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বসু বললেন, ‘আমি নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে যখনই পূজা আসতো, মাকে একটি শাড়ি উপহার দেয়ার জন্য ব্যাকুল থাকতাম, তবে বেশিরভাগ সময়ই দিতে পারতাম না।’

‘শুধু আমি নই, ঈদ বা পূজার সময় আমার মতো প্রত্যেকেই ব্যাকুল থাকে মাকে কিছু দেবার জন্য। সত্যি বলতে কি, সবাই ভাবে ছাত্রলীগ করলে মনে হয় কী না কী পাওয়া যায়! সত্যি কথা হল, ৯৯% ছাত্রলীগ করা ছেলেরাই বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে রাজনীতি করে। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে নিঃস্বার্থভাবে রাজনীতি করে যায়।’

‘যাইহোক, আজ নড়াইল-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা তার আসনের ছাত্রলীগের নেতাদের মায়ের জন্য সুন্দর একটি শাড়ি পাঠিয়েছেন। যা শুনে বুকটা ভরে যাচ্ছে। আমাদের সময়ে যদি এমনটি হতো, তাহলে আমাদের মায়েরা যেমন খুশি হতেন, তেমনি আমাদের কর্মীরাও অনেক খুশি হতেন।’

ছাত্রলীগ পরিবারের অগ্রজ হিসেবে সৌমেন বসু মাশরাফীকে ধন্যবাদ জানান।

আপ্লুতকর বিষয়টি নিয়ে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. নিজামউদ্দিন খান নীলু বলেন, ‘মাশরাফী মোর্ত্তজা রাজনীতির উদীয়মান তারকা। তার প্রতিটি কর্মকাণ্ড অনেকবেশি অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্তমূলক।’ ছাত্রলীগ পরিবারের অগ্রজ হিসেবে তিনি সাংসদ মাশরাফীকে ধন্যবাদ জানান।