ঈদের দিনে করোনাভাইরাসে ২১ জনের মৃত্যুর খবর, শনাক্ত ১৯৭৫

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৭৮তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৭৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এসময়ে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের, আর সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ১১ হাজার ৫৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ৪৫১টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪টি।

তিনি বলেন: দেশে সর্বমোট ৪৮টি ল্যাবে নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ৯৭৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২১ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ১৩৪ জন। করোনা রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০.৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১.৪১ শতাংশ।

বুলেটিনে জানানো হয়: প্রাণ হারানোদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় ২৮৪ জনকে নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। এসময়ে ছাড় পেয়েছেন ৯৫ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ৪ হাজার ৬৫৩ জন। আর মোট ছোড় পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৮ জন।

ডা নাসিমা বলেন: এ বছর ঈদের উৎসব ঢাকা পড়েছে করোনার স্বাস্থ্যবিধির নিচে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দরকার সকলের সহযোগিতা। ঈদ উৎসবেও করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সবাই আমরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে একসাথে টিম হিসেবে কাজ করছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন তিন লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৩ লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।