বিক্ষোভে মাটির নিচে ট্রাম্প

পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের আক্রোশ থেকে বাঁচতে হোয়াইট হাউসের মাটির নিচে আশ্রয় নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কৃষ্ণাঙ্গ ওই যুবককে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার জেরে আমেরিকাজুড়ে চলছে সহিংস বিক্ষোভ ও আন্দোলন। সেই বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে হোয়াইট হাউজেও।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীরা উপস্থিত হওয়ার পর যখন পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখনই  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা যায়, ওসময় প্রায় এক ঘণ্টা মাটির তলায় ঘাপটি মেরে বসে থাকতে হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। মাটির নিচের ও বাঙ্কার থেকে ওপরে তোলার পরেও নাকি বেশ আতঙ্কেই ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে অন্য এক সূত্র দাবি করেছে, সারা রাত তিনি বাঙ্কারেই কাটান।

এনডিটিভি বলছে, শুক্রবার কয়েকশ লোক হিংস্র আন্দোলন করতে করতে হোয়াইট হাউসের দিকে আগানোর সময় মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এবং পার্ক পুলিশের সদস্যরা তাদেরকে মাঝপথেই আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা ‍ঢুকে ভাঙচুর চালায় ও ইট-পাটকেল ছুটতে থাকে। হোয়াইট হাউসের বাইরে মানুষের এমন আছড়ে পড়া দেখে ঘাবড়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহকর্মীরা।

তবে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা কখনো হুমকির মুখে ছিল না। ৩০ মে সকালেই তিনি ফ্লোরিডার উদ্দেশে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেছেন।

মূলত পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়, আর তারপর থেকেই ওই ঘটনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানুষের ক্ষোভ দানা বাঁধছে।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চার পুলিশ সদস্যকে তৎক্ষণাই বরখাস্ত করা হয়।তবে নিহত ফ্লয়েডের পরিবার জড়িত চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছে।