১৯৯৮ বিশ্ব আসরে গোল্ডেন বল জিতলেও শিরোপা তুলতে সক্ষম হননি। যদিও ২০০২ সালে সেরা গোলদাতা হয়ে ঠিকই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। খেলেছেন ক্রুজেইরো, পিএসভি, বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান ও করিনথিয়ান্সের হয়ে। নাম রোনালদো নাজিরিও।
বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকার বললেও ভুল হবে না তাকে। সব মিলিয়ে গোলের সংখ্যা কম হলেও নামের পাশে অসংখ্য শিরোপা রয়েছে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির।সম্প্রতি প্রশ্ন এ এস স্পোর্টস প্রশ্ন করেছিল দ্য ফেনোমেননের চোখে সেরা ফুটবলার কে?জবাবে লিওনেল মেসির নাম নিয়েছেন।
রোনালদো মনে করেন সবার শীর্ষে রয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই মেসি। তিনিই নম্বর ওয়ান।’ব্রাজিলের জার্সিতে ৯৮ ম্যাচ খেলে ৬২ গোল দেয়া রোনালদো মনে করেন আগামী দুই-তিন দশকে বার্সেলোনা অধিনায়কের মানের ফুটবলার দেখা যাবে না।রোনালদো বলেন,রোনালদো বলেন, ‘তার মতো প্রতিভাবান কাউকে মনে হয় না আগামী ২০-৩০ বছরে দেখা যাবে।’
রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সার হয়ে মাঠ মাতানো এই স্ট্রাইকার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিজের পছন্দের তালিকায় রাখেননি।লিভারপুলের ও মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ, রিয়াল মাদ্রিদ ও বেলজিয়ামের তারকা এডেন হ্যাজার্ড রয়েছেন তার পছন্দের তালিকায়।
রোনালদো চোখে সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে স্বদেশী নেইমারও রয়েছেন। পিএসজিতে নেইমারের আরেক সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে তার অনেক পছন্দের সেটাও জানিয়েছেন। ‘সালাহ, হ্যাজার্ড, নেইমারকেও আমার পছন্দ।
বিশেষ করে এমবাপের খেলা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।’ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ী এমবাপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন দ্য ফেনোমেন।‘অনেকেই বলে থাকে তার সঙ্গে আমার মিল রয়েছে। তার গতি অনেক বেশি। চমৎকার ফিনিশিং।
দ্রুত দিক পরিবর্তন করতে পারে। দুই পায়েই দুর্দান্ত শট নিতে পারে। পায়ের কাজও নিখুঁত।যদিও একজনের সঙ্গে অপরজনের তুলনা করাটা অপছন্দের রোনালদোর কাছে।‘হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে কিছুটা হলেও মিল রয়েছে। তবে আমি কখনও তুলনা পছন্দ করি না। বিশেষ করে আলাদা যুগের খেলোয়াড়দের মধ্যে। কারণ পরিস্থিতি এক রকম না।’