যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভে রাবার বুলেটে চোখ হারালেন সাংবাদিক

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে গত সপ্তাহে একজন কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কারফিউ জারি করা হলেও তা উপেক্ষা করে জনগণ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪০০-এর বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।

অগ্নিগর্ভ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়ে চোখ হারালেন এক সাংবাদিক। সাংবাদিক লিন্ডা টিরাদো জানান, বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ছুড়েছে। সে সময় রাবার বুলেট তাঁর চোখে আঘাত করেছে। ফলে চিরদিনের মতোই তাঁর ওই চোখ দৃষ্টি হারিয়েছে।

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার বিক্ষোভ কভার করতে শুক্রবার ন্যাশভিল থেকে মিনিয়াপলিসে যান ওই চিত্র সাংবাদিক। বিক্ষোভের নানা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার সময় হঠাৎ করেই একটি রাবার বুলেট ছিটকে এসে তাঁর চোখে লাগে।

লিন্ডা বলেন, ওই মুহূর্তে মনে হয়েছিল আমার মুখ বিস্ফোরণে উড়ে গেছে। অস্ত্রোপচার করে তাঁর চোখ থেকে গুলি বের করা হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, তিনি ওই চোখে ভবিষ্যতে আর দেখতে পাবেন না। অস্ত্রোপচারের পর কমপক্ষে দুই সপ্তাহ তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। রোববার সামাজিক মাধ্যমে নিজের ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।

জানা গেছে, রাবার বুলেটে লিন্ডার চোখ হারানো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুক্রবার পুলিশের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে আরো অনেক সাংবাদিককে। জর্জ ফ্লয়েডকে নিরস্ত্র অবস্থায় নির্যাতনের পর তার মৃত্যু হয়। তাকে পুলিশের নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই বিক্ষোভ দানা বাঁধে। তা থেকেই আন্দোলনের সূত্রপাত।

তাঁরর মৃত্যুর দুদিন পর মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ২৭ মে বিক্ষোভকারীরা থানায় আগুন দেয়। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেছে এক পুলিশ কর্মকর্তা। নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য বারবার আর্তনাদ করতে থাকেন ফ্লয়েড। বাঁচার আকুতি জানান তিনি। তবে পুলিশ ছিল নির্বিকার। এভাবে নির্যাতনের পর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।