দিল্লির হোটেল-ব্যাংকোয়েটগুলোতে হবে করোনার চিকিৎসা

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, যা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লি সরকারের। সেজন্য পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার করোনা চিকিৎসায় দিল্লির হোটেল ও ব্যাংকোয়েটগুলোতে ২০ হাজার বেডের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে দিল্লি সরকার। এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এরই মধ্যে দিল্লিতে করোনা চিকিৎসার জন্য বেডের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরের হোটেল ও ব্যাংকোয়েটগুলোকে কাজে লাগাতে চায় কেজরিওয়াল সরকার।

জানা গেছে, দিল্লির ৪০টি ব্যাংকোয়েট হলে করোনা চিকিৎসার জন্য ১১ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। এই ব্যাংকোয়েটগুলো স্থানীয় নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। অন্যদিকে, শহরের ৪০টি হোটেলে রাখা হবে চার হাজার বেড। এই হোটেলগুলো যুক্ত থাকবে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে। দিল্লিতে এখন পর্যন্ত করোনা পজিটিভের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজারের কাছাকাছি।

দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা দেখে আশঙ্কা করা হচ্ছে, জুলাইয়ের শেষের দিকে এই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখে পৌঁছে যাবে। করোনা সংক্রমণে ভারতের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। দিল্লির আগে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু রাজ্য। দিল্লিতে প্রতিদিন দুই হাজারের ওপর করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। ফলে আগেভাগেই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কোমর বাঁধছে দিল্লি সরকার।

গত রোববার দিল্লি সরকার নির্দেশ দিয়েছে, করোনা রোগীর জন্য দিল্লির প্রতিটি নার্সিং হোমকে অন্তত ১০ থেকে ৪৯টি বেড রাখতে হবে। ফলে করোনা চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত ৫০০টি বেড পাওয়া যাবে।

জানা গেছে, দিল্লির যেসব হোটেলগুলোকে করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে, এরই মধ্যে সেখানে করোনা চিকিৎসা শুরু হয়ে গেছে।

এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে আরো ৩২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫২০ জনে। এ ছাড়া নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৫০২ জন। ফলে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৩২ হাজার ৪২৪ জনে।