অনুমোদনহীন টিআরপি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অনুমোদনহীন টিআরপি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এ ক্ষেত্রে একটি শৃঙ্খলা অবশ্যই আনতে হবে।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন কে কাকে টিআরপি দেয়, সেটি আমাদের জানা নেই। টিআরপি যারা করছে তারা কোথা থেকে অনুমতি নিয়েছে, কে তাদের লাইসেন্স দিয়েছে সেটি অনেকের প্রশ্ন। কারণ বাংলাদেশে টিআরপি নির্ধারণের জন্য সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।’

‘আগে যেমন ক্যাবল নেটওয়ার্কে টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল সামনের দিকে রাখার জন্য, এমনকি টিভি চ্যানেল যাতে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সেজন্যও নানা ধরনের অশুভ প্রতিযোগিতা ছিল, অনৈতিকতার আশ্রয় নেওয়া হতো, সেটি আমরা বন্ধ করেছি’, উল্লেখ করেন ড. হাছান।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুলো টিআরপি নির্ধারণ করে, সেখানেও অশুভ, অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং ইউরোপের দেশগুলোতে টিআরপি কীভাবে নির্ধারণ হয় সরকার তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় টেলিভিশন শিল্পের দেশ ভারতে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি সংস্থা আছে সেই সংস্থা টিআরপি ঠিক করে দেয়।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে অ্যাটকো (অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স), ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার এবং অন্যান্য অংশীজন যারা আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এখানে অবশ্যই খুব সহসা একটি শৃঙ্খলা নিয়ে আসা হবে।’

এ সময় অবৈধ ও অনৈতিক ওয়েবসিরিজের বিষয়ে বলতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়েবসিরিজ, সিনেমা বা যে কোনো কিছু নির্মাণ ও প্রচার করার ক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়। আমাদের একটি কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি আছে, আমাদের সমাজের একটি মূল্যবোধ আছে। এটি অনেক সময় অনেকে মাথায় রাখেন না।

বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে এ দোহাই দিয়ে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে কোনো কিছু করা কখনোই সমীচীন নয়, আইনানুযায়ীও সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করেন ড. হাছান।