চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সামিরুল ইসলাম নামের এক চিকিৎসকের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সামিরুল ইসলাম নামের আরো এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা. সামিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

জানা গেছে, ডা. সামিরুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম ১১ দিন বাসায় চিকিৎসা নেন। পরে গত ২১ মে তাঁকে চমেক হাসপাতালের একটি কেবিনে আইসোলেশনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত ২৬ মে সকালের দিকে তাঁর অক্সিজেনের স্যাচুরেশন কমে গেলে তড়িঘড়ি করে তাঁর অক্সিজেনের চাপ বাড়ানো হয়। পরে সামিরুল ইসলামের শরীরে ২৫০ মিলিলিটার প্লাজমা দেওয়া হয়। সদ্য করোনাজয়ী মো. তারেক নামের এক ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তা এই চিকিৎসকের শরীরে দেওয়া হয়। এর দুদিন পর সিএমপির করোনাজয়ী পুলিশ কনেস্টেবল অরুণ চাকমার শরীর থেকেও প্লাজমা দেওয়া হয়।

এতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আরো ভাল পরিবেশে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য গত ১৩ জুন ডা. সমিরুলকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

চিকিৎসকরা জানান, করোনা সংক্রমণের জন্য ডা. সামিরুলের ফুসফুসের বেশ ক্ষতি হয়েছিল। করোনামুক্ত হলেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ বোধ করেননি। আজ দুপুরে মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা যান।

এর আগে করোনার উপসর্গে গত ১৭ জুন মারা যান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সিনিয়র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল হক, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. আরিফ হাসানের মৃত্যু হয়। ডা. আরিফ হাসান কুমিল্লার একটি হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পর চট্টগ্রামে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন।

এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৪ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএমও ডা. মুহিদুল হাসান, গত ৩ জুন চট্টগ্রাম মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (মেডিসিন) ডা. এ এস এম এহসানুল করিম এবং গত ২৫ মে ঈদের দিন মারা যান চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক এ এম জাফর হোসাইন রুমি।