নেপালের ৩৬ হেক্টর জমি দখলের অভিযোগ চীনের বিরুদ্ধে

ভারতের পর এবার চীনের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ তুলল নেপাল সরকার। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, তিব্বতের দিক থেকে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে চীন। আর সেই কাজ করতে গিয়ে অন্তত ১১টি জায়গায় সীমান্ত লঙ্ঘন করে নেপালের জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

১০টি জায়গায় প্রায় ৩৬ হেক্টর (৮১.৫৪ একর) জমি এরই মধ্যেই নেপালের হাতছাড়া হয়ে গেছে। পাশাপাশি, নেপালের ভূখণ্ডের পাহাড়ি নদীগুলোর গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে তিব্বতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও পাকা করছে চীন, খবর এনডিটিভি!

প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেপালের হুমলা জেলায় ১০ হেক্টর এবং রাসুওয়া জেলায় ৬ হেক্টর জমি এরই মধ্যেই দখল করে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন।

পাশাপাশি, বাগডারে খোলা এবং কার্নালি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। সেগুলোর গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে চীন অধিকৃত তিব্বতের দিকে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে নেপালের বেশ কিছু কৃষিক্ষেত্রে পানি সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

একই ভাবে তিব্বত থেকে নেপালের দিকে প্রবাহিত সুমজং, কামখোলা এবং অরুণ নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ায় নেপালের সঙ্খুয়াসভা জেলায় সেচের পানির অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই জেলায় এরইমধ্যেই নেপালের ৯ হেক্টর জমি বেইজিংয়ের গ্রাসে চলে গেছে। নেপাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘এ ভাবে নদীর গতিপথ বদলে জমি দখলের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে অচিরেই আমাদের কয়েকশো হেক্টর জমি তিব্বতের হয়ে যাবে।’

সম্প্রতি, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ‘লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোল’ (এলএসি) এর ভারতীয় অংশে চীনের সেনারা একটি কাঠামো নির্মাণের চেষ্টা চালানোর কারণে সহিংসতায় অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় উভয় দেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই উত্তেজনার মাঝেই চীনের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের গুরুতর অভিযোগ নেপালের।