প্রতিবেশীর করোনা আক্রান্ত শুনে আতঙ্কে আছেন চিত্রনায়িকা পপি

খুলনার গ্রামের বাড়িতে এত দিন বেশ আনন্দেই ছিলেন পপি। কিন্তু সে আর থাকল কই! করোনাভাইরাস পৌঁছে গেছে প্রতিবেশীর দোরগোড়ায়। এখন আতঙ্কে দিন কাটছে পপিসহ পরিবারের সবার।

করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগেই নিজের গ্রামের বাড়ি খুলনায় চলে যান জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। তিন মাস ধরে সেখানেই রয়েছেন। এত দিন করোনা নিয়ে মানসিক পীড়ন থাকলেও বাড়ির সবাইকে পেয়ে বেশ আনন্দেই ছিলেন পপি। আশপাশের নিম্ন আয়ের মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। সেসব খবর উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। এখন পপি ও তাঁর পুরো পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, কারণ পাশের বাড়িতে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস।

পপি বলেন, ‘করোনার এই সময়টা জন্মস্থানে পরিবারের সবাইকে পাশে পেয়ে বেশ আনন্দেই সময় কাটাচ্ছিলাম। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি নিজের সাধ্যমতো, এতেও আনন্দ পেয়েছি। সবাইকে নিয়ে অনেক বছর পর ঈদ করতে পেরে আনন্দ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি আমাদের বাড়ির পাশে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর থেকে বাড়ির আশপাশের সবাই আতঙ্কিত। আমাদের পরিবারেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

পপি আরো বলেন, ‘আব্বু-আম্মুসহ আমাদের পরিবারে বয়স্ক মানুষ রয়েছে। তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক কারণে আমাদের তুলনায় কম। আমরা বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তবে গৃহকর্মী বাইরে থেকে আসেন। খুব আতঙ্কে সময় কাটছে। আল্লাহ যেন সবাইকে হেফাজত করেন। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। লাক্স আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘গঙ্গাযাত্রা’য় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র।