বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবিতে ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার : দুটি তদন্ত কমিটি

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবিতে ৩২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

আজ সোমবার সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) মো. রফিকুল ইসলাম খানকে আহ্বায়ক এবং বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌনিরাপত্তা) মো. রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সাত সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন জসিম উদ্দিন সরকার, বিআইডব্লিউটিসির প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, নৌপুলিশের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি।

কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটি দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও সংস্থাকে শনাক্তকরণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রদান করবে।

এর আগে এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। চার সদস্যদের ওই কমিটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লঞ্চডুবির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বিষয়টি মনিটরিং করছেন।

আজ সকালে ঢাকার শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের উপসহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ডুবে যাওয়া ওই লঞ্চটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন।’