২০ কোটি টাকা খাবার বিল বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা, ডিএমসি পরিচালক

২০ কোটি টাকা খাবার বিলের খবর মিথ্যা, এমন দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।

বুধবার সকালে ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন ।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। এখানে খাবারের জন্য নয় হোটেল ভাড়ায় বেশি টাকা যাচ্ছে। খাবারের জন্য ৫০০ টাকা করে প্রতিজনের জন্য, সেভাবেই হোটেলে বলে দেয়া আছে।

খরচের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানান, যাতায়াতের জন্য প্রায় ১৫টি মিনিবাস, দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি বাস রাখা হয়েছে। সেগুলো দিয়ে প্রতিদিন তিন বেলা তাদের আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। দুই মাসের জন্য কী পরিমাণ খরচ হতে পারে তা মন্ত্রণালয় থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখন তারা হিসাব করে দেখেছেন- দুই মাসে ২০ কোটি টাকার মত লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল সবকিছুর প্রমাণ দেবে। ইতোমধ্যে ঢাকা মেডিকেলে প্রায় ১৫০ জনের চিকিৎসক, ২৫০ জন নার্স ও ১০০ জনের বেশি কর্মচারী ও আনসার সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেলে রাখা হচ্ছে।

ঢামেক পরিচালক বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ঢাকা মেডিকেলে মতো দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান যারা ৭৪ বছর ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে, এই অপপ্রচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত সবাইকে অপদস্ত করা হয়েছে।

তিনি অপপ্রচারকারীর বিচার দাবি করে বলেন, এই বক্তব্য দিয়ে সমাজে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে, আমাদের সব কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। সেজন্য আমি বিচার চাই।

ঢামেক পরিচালক বলেন, আমরা কিভাবে কাজ করছি কিভাবে ব্যয় করছি, আমাদের কাজের প্রক্রিয়া কী, কতজন কর্মরত ছিল, এটি আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতনদের কাছে লিখিত দিয়েছি। নিশ্চয়ই তারা সেটি দেখবেন। এ পর্যন্ত আমাদের ৩৬৮৮ জন ম্যানপাওয়ার ডিউটি করেছে। তারা হোটেলে থেকেছে, খেয়েছে এবং হাসপাতালে যাতায়াত করেছে। এই হিসাবটি আমরা আনুমানিক হিসেবে উপস্থাপন করেছি। সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেখে পরে অর্থমন্ত্রণালযয়ে উপস্থাপনা করেছে। এরপর অর্থমন্ত্রণালয় সেটি অনুমোদন দিয়েছে।

পরিচালক পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলেন, ৩ সপ্তাহে মোট ডাক্তার লেগেছে ৫১০ জন, নার্স ৬৩৬ জন, কর্মচারী ৪৫৬ জন, টেকনিশিয়ান ৭৬ জন, সিকিউরিটি ২১৬ জন। মোট তিন সপ্তাহের জন্য ১৮৯৪ জন কর্মী লেগেছে। বিশ্রামে ছিলেন ৩৮২ জন। অর্থাৎ এক মাসে ২২৭৬ জন কর্মী লেগেছে। তাহলে দুই মাস লেগেছে ৪৫৫২ জনশক্তি।

এখন আমাদের বরাদ্দ হওয়া ২০ কোটি টাকা দুই মাসে এই জনশক্তির মধ্যে ভাগ করলে বোঝা যাবে কেমন খরচ করা হয়েছে।