করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪০১৯

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১১৭তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৩৪ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৭টি। আগের কিছু নমুনা সহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৬২টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৮ লাখ ২ হাজার ৬৯৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

তিনি বলেন: নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৪ হাজার ১৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন। মোট আক্রান্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১০ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৯২৬-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ১৯ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৬ হাজার ৪৪২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩২জন পুরুষ, ২ জন নারী। এদের মধ্যে ২১-৩০ বয়সী একজন, ত্রি‌শোর্ধ্ব দুইজন, চল্লি‌শোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চা‌শোর্ধ্ব ১৬ জন, ষা‌টোর্ধ্ব আটজন, স‌ত্তরোর্ধ্ব সাতজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন । তাদের ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচজন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের, একজন রংপুর বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের এবং দুজন বরিশাল বিভাগের। ৩৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ১৯ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৬০ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।