ভুয়া লাইসেন্স বিক্রি করতেন সাহেদ করিম

`রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম শুধু করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে জালিয়াতিই করতেন না। তিনি রিকশা ও ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবসাও করতেন।

আশিক বিল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রিজেন্টের মালিক সাহেদ ভুয়া রিকশা ও ভ্যানের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবসা করতেন। গতকাল শনিবার আমরা রিজেন্ট গ্রুপের উত্তরার প্রধান শাখায় অভিযান চালিয়ে রিকশা-ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স উদ্ধার করি। তবে গতকাল সব কাগজপত্র দেখা হয়নি। আজ সব চেক করতে গিয়ে দেখি সেখানে ৫০০টি রিকশা ও ২০০টি ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স।’

আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘যাদের সে (সাহেদ) ভুয়া লাইসেন্স দিত তাদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নিত। আর প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে সাহেদকে দিতে হতো। জব্দকৃত ওই লাইসেন্সগুলোতে ইস্যু দানকারী হিসেবে সাহেদের নাম-নম্বর ছিল। ভুয়া লাইসেন্স দেওয়া সেই যানবাহনগুলো তুরাগ, রানাভোলা এলাকায় চলাচল করত।’

গত ৬ জুলাই বিকেল থেকে রাত অবধি উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের মূল কার্যালয় ও মিরপুর শাখায় অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান শেষে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ইচ্ছেমতো ‘নেগেটিভ-পজিটিভ’ ফল বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মোট আটজনকে আটক করে র‍্যাব। পরের দিন মূল শাখা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয় র‍্যাব। ওই দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি করা হয়। ওই রাতেই রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

এদিকে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সাহেদকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।,