করোনায় নরওয়ে-সুইডেন সীমান্তে হয়ে গেলো একটি ভিন্নধর্মী বিয়ে অনুষ্ঠান

`কোভিড-১৯ মহামারী পৃথিবীর অনেক কিছুই বদলে দিচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউনের ফলে আরোপিত হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। এতে শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে,নিষিদ্ধ আছে হ্যান্ডশেক, কোলাকোলি করা। এত বিধিনিষেধের মাঝেও মানুষের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বন্ধ নেই। অনেকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিয়ে অনুষ্ঠানও সম্পন্ন করে ফেলছেন। সম্প্রতি নরওয়ে-সুইডেন সীমান্তে হয়ে গেলো একটি ভিন্নধর্মী বিয়ে অনুষ্ঠান।,

সূত্র : বিবিসি

কনে নরওয়েজিয়ান এবং বর সুইডিশ। দু’দেশের দু’জন কাছের মানুষ একাত্ম হবে, ফলে সব বিধিই তাদের কাছে তুচ্ছ। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠান করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তারা চিন্তা করলেন, অনুষ্ঠান হবে দুই দেশের সীমান্তের বনাঞ্চলে।

বিবিসিকে এই দম্পতি বলেন, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য তারা আর অপেক্ষা করতে পারছিলেন না। আমরা তারিখ পরিবর্তন করতে চাইনি, আমরা যা চেয়েছিলাম, তা হলো বিয়ে করা।’

সুইডেন সীমান্তের ঠিক সামনে নরওয়ের দক্ষিণ-পূর্ব হোলিবেকক অঞ্চলের একটি বনের মাঝখানে বিয়ে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। দু’দেশের অতিথিরা সীমান্তে এসে দাঁড়ায়। উভয় দেশের অতিথিদের মাঝখানে টানা হয় একটা সাদা ফিতা। যা কেউ অতিক্রম করতে পারবেন না। সুইডেনের ওপারে দাঁড়িয়েই অতিথিরা বিয়ে উপভোগ করেন, পারস্পরিক পানীয় বিনিময় করেন। আর বর-কনে ছিলেন নরওয়েতে।,

মজার বিষয় হলো, বিয়ে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণহীন দুজন অতিথিও উপস্থিত ছিলেন। তারা অবশ্য পুলিশের সদস্য। তাদের দায়িত্ব ছিলো, মাঝখানের ফিতাটি কেউ অতিক্রম করছে কিনা তা তদারকি করা। দম্পতিরা জানান, পুলিশ অফিসারেরা বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তারা যোগদান করতে পারবে কিনা এবং বিয়ে অনুষ্ঠান দেখতে পারেন কিনা। আমরা অবশ্য এতে হ্যাঁ বলেছি।,

এমন বিয়ে আয়োজন নিয়ে কনে কমিল্লা ওইজার্ড বলছিলেন, তিনি এই ধারণাটি একটু রসিকতা করে প্রস্তাব করেছিলেন, যেখানে বন্ধু-বান্ধব, পরিবারগুলো বেশ উতসাহ নিয়ে সাঁড়া দেন।,

‘আমরা স্বামী-স্ত্রী হতে চেয়েছিলাম! প্রেম সকলকে জয় করে’, বলছিলেন নবদম্পতি। বর আলেকজান্ডার ক্লার্ন বলেন, তারা মনে করেনি কেউ আসবেন। কারণ বনাঞ্চলের সীমান্তে আসার জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু অতিথির  অংশগ্রহণ দেখে দারুণ আনন্দিত হয়েছি।,

মূলত সুইডেনে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ অন্য দেশের তুলনায় শিথিল আছে। বিশেষ করে নরওয়ের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্ষেত্রে ভ্রমণের তেমন কড়াকড়ি রাখেনি। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তারা সামাজিক বিধিনিষেধ মেনে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন।,