করোনা কারণে ঈদকে কেন্দ্র করে মসলার বাজারে নেই ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়!

‘ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র আটদিন। তবে এবার ঈদকে কেন্দ্র করে মসলার বাজারে নেই বাড়তি দাম, নেই ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। বরং জিরা, এলাচসহ মসলা জাতীয় অনেক কিছুর দাম কমে গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মসলার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কেজিপ্রতি জিরার দাম কমেছে ১০০ টাকার মতো। কমেছে এলাচের দামও। বাজারে ব্যস্ততা নেই ক্রেতা-বিক্রেতার। অস্বস্থিতে আছে বিক্রেতাও।,

‘রিপন ইসলাম নামের এক ক্রেতা , ‘ঈদকে সামনে রেখে এক কেজি জিরা কিনছি ২৮০ টাকায়। অথচ, একই জিরা এক মাস আগে কিনেছি ৪০০ টাকা দরে।’ তিনি বলেন, ‘১২০ টাকা কমে পাচ্ছি বলে এক কেজি জিরা কিনলাম। দাম বাড়তি থাকলে ৫০০ গ্রাম কিনতাম। অন্যবারের চেয়ে এই ঈদের পার্থক্য হলো, প্রতিবারের মতো এবার আর ঈদের আগে সবকিছুর দাম বাড়েনি।’

‘ফিরোফিজা খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এখন এলাচের দাম তিন হাজার টাকা কেজি। অথচ এই এলাচের দাম মাস দুয়েক আগেও তিন হাজার ৮০০ টাকা ছিল। তাই ৫০০ গ্রাম এলাচ কিনলাম। লবঙ্গের দাম আগে ছিল এক হাজার টাকা। এখন দাম সাড়ে ৮০০ টাকা কেজি। দারুচিনিও কম দামে কিনলাম। আগে ছিল ছিল ৪২০ টাকা। আজ কিনলাম ৩৮০ টাকা কেজি।’

‘কারওয়ান বাজারের মসলা ব্যবসায়ী মো. শাহজাদা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এবার ঈদের আগে কোনো কিছুরই দাম বাড়েনি। কিন্তু ক্রেতা নেই। মানুষের কাছে টাকা-পয়সা নেই। ব্যবসায় মন্দা খুব।’,

‘অপর বিক্রেতা রাফাত জামিল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এবার ঈদে মানুষ বেশি কেনাকাটা করছে না। কিন্তু গত ১০ বছরের ভেতরে এমন একটি বছরও দেখিনি আমি, যে বছর ঈদের আগে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। তবে কিছু চালের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া সব মোটামুটি স্বাভাবিক।’,