মিরপুর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণ, আহত ৫

‘রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানার ভেতরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে পল্লবী থানার চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোরের পর এ ঘটনা ঘটলেও ঠিক কখন ঘটেছে, তা নিয়ে তিন রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আগে তিনজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের।,

এ ব্যাপারে পল্লবী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আকলিমা আক্তার বলেন, সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। মোট আহত হয়েছেন পাঁচজন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ওসি স্যারকে ফোন দেন।,

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ধরেননি।,

পরে এ ব্যাপারে পুলিশের মিরপুর ডিভিশনের এডিসি মাহমুদা আফরোজ লাকী বলেন, ‘এ ঘটনা ভোরের দিকে ঘটেছে বলে আমি জেনেছি। তবে এর বাইরে বিস্তারিত কিছু জানি না।,

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে তাদের পৌঁছানোর আগেই ওয়েট মেশিনসদৃশ বস্তু বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুজন ঢামেকে, একজন চক্ষু হাসপাতালে এবং বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন।,

ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘পল্লবী থানা পুলিশ দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজন ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ত্রাসীদের কাছে থাকা ওয়েট মেশিনসদৃশ একটি যন্ত্র ছিল। ওই যন্ত্রটি থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে রাখা হলে তা বিস্ফোরিত হয়। সন্ত্রাসীরা ওই এলাকার একজনকে হত্যা করবে এমন তথ্য ছিল পুলিশের কাছে। পরে তাদের আটক করা হয়।,

এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি কোনো জঙ্গি তৎপরতা নয়, এটি এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এ রকম তিনজন সন্ত্রাসীকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশ। তারপর তাদের নিয়ে কালশী এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে ওজন মাপার যন্ত্র পাওয়া যায়। সেই যন্ত্র থানার ভেতরে রাখা হলে সেই ওজন মাপার যন্ত্রটি মূলত বিস্ফোরিত হয়।,