করোনায় সীমিত সংখ্যক হাজী নিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

‘বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সীমিত আকারে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এবারের হজে অংশ নিতে পারছেন মাত্র ১ হাজার মুসল্লি৷ লত নিবন্ধনকৃত ১০ হাজার হজযাত্রীর মধ্যে এই ১ হাজার জনকে নির্বাচিত করা হয় এবং গত ২৫ জুলাই থেকে তাদের সবাইকে আবাসিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এখানেই শারীরিক সুস্থতাসহ হজের প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ সমাপ্ত করেছেন হাজীরা। দীর্ঘ প্রায় ৯০ বছর পর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না এবার। শুধু মাত্র সৌদি আরবে অবস্থানরতরা অংশ নিতে পারছেন।,

সূত্র : সি এন এন

প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ মুসল্লি সারাবিশ্ব থেকে পবিত্র হজে অংশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু করোনার বিশ্ব মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত আকারে এবার তা পালিত হচ্ছে। আরোপ করা হয়েছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। হজ পালনকারীরা এবার কাবা শরিফ ও কালো পাথরে (হাজরে আসওয়াদ) চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না। আরাফাতের ময়দান ছাড়া সব সময় মাস্ক পরিধান করতে হবে।

আজ সৌদি আরবের ৮ জিলহজ মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন হাজীরা। বৃহস্পতিবার সারাদিন আরাফাত ময়দানে অবস্থান শেষে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে রাতযাপন করবেন। এরপর মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন।

পরদিন শুক্রবার ১০ জিলহজ জামারায় শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুড়ে মারবেন। তার জন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে (সৌদি কর্তৃপক্ষ এসব পাথর সরবরাহ করবেন)। তাই এবার মুজদালিফা থেকে শয়তানকে ছুড়ে মারা কঙ্কর সংগ্রহ করতে হবে না।

এভাবে পরপর আরও দুই দিন শয়তানের উদ্দেশে কঙ্কর মারতে হবে। এরপর মাথা মুন্ডুন করে কোরবানি দিতে হবে। এ ছাড়া প্রথম দিনের কঙ্কর মারা শেষ হলে চলমান হজ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব হাজীকে মিনায় নির্দিষ্ট আবাসনে থাকতে হবে।

এর আগে সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এসব জানানো হয় মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও জামারার হজের কার্যক্রমে প্রতি দলে ২০ জন করে অংশ নেবেন। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের সময়ও ২০ জন করে দলে থাকবেন। এমনকি হজ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কারও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও হাঁপানি রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে তিনিও হজে অংশ নিতে পারবেন না।

এবারের হজে হাজীদের সব ধরনের খরচ বহন করছে সৌদি সরকার। এবার হজের দ্বিতীয় দিন আরাফাত ময়দানের খুতবা বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনূদিত হবে। সৌদি আরবে মোট ২ লাখ ৭০ হাজারের অধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩ হাজার মানুষ।,