করোনা আতঙ্কে জাতীয় দলের ফুটবলাররা

`জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে করোনা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দিনে চার ফুটবলারের করোনা ধরা পড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার আরো পাঁচ জনের করোনা ধরা পড়ায় খেলোয়াড়দের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। মিডফিল্ডার সোহেল রানা বললেন, ‘আমরা এখন আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছি।’

নতুন করে আক্রান্তরা হলেন- আবাহনীর টুটুল হোসেন বাদশা, সোহেল রানা, গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল, বসুন্ধরা কিংসের সুশান্ত ত্রিপুরা ও ইব্রাহিম। এদের ছাড়াই গতকাল বাকিদের নিয়ে রাত ১০টায় বাফুফে হতে গাড়ী ছাড়ে সারা রিসোর্টের পথে।  এর আগে বসুন্ধরা কিংসের বিশ্বনাথ ঘোষ, পুলিশের নাজমুল ইসলাম রাসেল ও ম্যাথিউস বাবলু এবং উত্তর বারিধারা ক্লাবের সুমন রেজা করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন আইসোলেশনে রয়েছেন।

প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বিকল্প খেলোয়াড় ডাকা হবে কি না এমন প্রশ্নে ন্যাশনাল টিম ম্যানেজম্যান্ট কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল জানিয়েছেন, তারা এরই মধ্যে কোচ জেমি ডের সঙ্গে কথা বলেছেন। নতুন কাউকে ডাকা হলে কয়েক দিনের মধ্যে জানা যাবে। কাজী নাবিল বলেন, ‘এটি শেষ টেস্ট না। আরো দুই-তিনবার টেস্ট করা হবে।’ যদি নতুন খেলোয়াড় ডাকা হয় তাহলে করোনায় আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ক্যাম্পে ঢুকবে কি না? নাবিলের জবাব, ‘সেগুলো বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, সেগুলো সেভাবেই সামঞ্জস্য করা হবে। ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস আছে। এত খুটিনাটি বলার সময় না এখন।’

এটি স্পষ্ট যে, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিশ্বনাথ যেহেতু জাতীয় দলে নিয়মিত, তার বেলায় ব্যতিক্রম হতে পারে। তাতে কপাল পুড়ল ডাক পাওয়া নতুনদের। আর কপাল খুলতে পারে যদি নতুন কাউকে ডাকা হয়। তারা সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন জাতীয় দলে।

সারা রিসোর্টের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি

রাজেন্দ্রপুরে গড়ে তোলা বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র সারা রিসোর্টের সঙ্গে ‘এক্সক্লুসিভ অ্যাকমোডেশন পার্টনার’ হিসাবে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তি করেছে বাফুফে। কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলার আগে পর্যন্ত জাতীয় দলের ক্যাম্প রাজেন্দ্রপুরেই হবে।

গতকাল বিকালে বাফুফে ভবনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কাজী নাবিল দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চেয়ে সারা রিসোর্টে ক্যাম্প হলে খেলোয়াড়রা আরো বেশি মনযোগী হবে। এদিক-সেদিক যেতে পারবে না। সেখানে হেলথ ক্লাব, সুইমিংপুলসহ সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।  সারা রিসোর্টের এমডি শাহাদাত হোসেন মাঠ সম্পর্কে বললেন, ‘আমরা মাঠ রোলিং করেছি। কিছু ট্রিটমেন্ট করছি। অনেক বড় মাঠ।,’