আগামীকাল খুলছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো কাল সোমবার থেকে ফের খুলছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার আগেই হাজার হাজার পর্যটক এখন কক্সবাজারে। খুলেছে হোটেল-মোটেল ও সৈকতের দোকানপাটও। তবে কয়েকদিন ধরে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ থাকায় পর্যটকদের পদচারণায় বিঘ্ন ঘটছে।

জেলা প্রশাসক জানান, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ১৩টি শর্তে খুলে দেওয়া হচ্ছে শহরের হোটেল-মোটেলগুলো। ফলে সোমবার থেকে কক্সবাজার শহরের সেই চিরচেনা দৃশ্য ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও বিমান চলাচল খুলে দেওয়া হয়েছে আরো পক্ষকাল আগে।

এর আগে গত মাসে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের হোটেলগুলো খুলে দেওয়া হয়। হোটেল মালিকদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার আশা করেন, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকা মানুষগুলো মুক্ত হাওয়া খেতে আবারও কক্সবাজারে আসবেন। তবে এখন একটি কক্ষে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত পর্যটক থাকার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাপল বেড ও টুইন বেডে সর্বোচ্চ দুজন অবস্থান করতে পারবেন। সে হিসেবে কক্সবাজারের চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে একদিনে সর্বোচ্চ ৮২ হাজার পর্যটক রাত যাপন করতে পারবেন। করোনার আগে এই সক্ষমতা দ্বিগুণ ছিল বলে জানান তিনি।

এদিকে কাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার আগেই কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারে আসছে বেশ  পর্যটক। কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকুলে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। এ কারণে কক্সবাজার শহর ও সৈকতে পর্যটকদের পদচারণায় বিঘ্ন ঘটছে।,